Breaking News
Home / অন্যান্য / স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ, দেবরের বাড়ির সামনে অনশনে ভাবি

স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ, দেবরের বাড়ির সামনে অনশনে ভাবি

বিচ্ছেদের পর ৯ বছরের সন্তানকে নিয়ে বিয়ে দাবিতে সাত দিন ধরে সাবেক স্বামীর ভাইয়ের বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছেন এক গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি)

সরেজমিনে গিয়ে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় এ দৃশ্য দেখা যায়। এর আগে একই দিন বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) থেকে নিতুন মিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছেন তিনি।

জানা যায়, গৃহবধূর বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায়। নিতুনের বাড়ির প্রধান ফটকের সামনে একটি বিছানা পেতে সন্তানকে নিয়ে বসে আছেন ওই গৃহবধূ। এ সময় ওই গৃহবধূ বলেন, ‘ওর (নিতুন) কারণে আমার সুখের সংসার ভেঙেছে।

আমি ওকেই বিয়ে করতে চাই। যতক্ষণ আমাকে বিয়ে করবে না, ততক্ষণ আমি এখান থেকে উঠব না। আমি সবার সহযোগিতা চাই।’ তিনি জানান, তার সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন তিনি।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে বদরগঞ্জ পৌর শহরের মণ্ডলপাড়া গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে মোস্তাফিজারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ৯ বছর আগে তাদের ঘরে একটি ছেলেসন্তান জন্ম নেয়। তাদের সংসার ভালোই চলছিল।

অভিযোগ উঠেছে, এর মধ্যে বিভিন্ন সময় ওই গৃহবধূকে প্রস্তাব দেন মোস্তাফিজারের ছোট ভাই নিতুন মিয়া। বিভিন্ন সময় ওই গৃহবধূর মোবাইল ফোনে আপত্তিকর খুদে বার্তাও পাঠাতেন তিনি। বিষয়টি জানতে পারেন স্বামী। পরে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। একপর্যায়ে তা বিবাহবিচ্ছেদে রূপ নেয়।’

নিতুন মিয়া বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে দুই বছর আগে ভাই-ভাবির বিবাহবিচ্ছেদ হয়। ভাবির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক ছিল না। তিনি আমার চেয়ে ১০ বছরের বড়। বিচ্ছেদের দুই বছর পর হয়তো তিনি কারো ইন্ধনে আমার বাড়িতে এসেছেন।’

বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ওই মেয়েটি একটি মামলা করেছেন মোস্তাফিজারের নামে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। অতি দ্রুত এর সমাধান হবে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

About Admin

Check Also

সকলের সামনেই নতুন জামাইয়ের সাথে জনপ্রিয় গানে তু-মুল নাচ শাশুড়ির,এ যেন এক দারুন কম্বিনেশন যা নেট দুনিয়ায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে মুহূর্তেই তুমুল ভাইরাল ভিডিও

নৃত্য শব্দটি সাধারণত শারীরিক নড়াচড়ার প্রকাশভঙ্গীকে বোঝায়। এ প্রকাশভঙ্গী সামাজিক, ধর্মীয় কিংবা মনোরঞ্জন ক্ষেত্রে দেখা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *