বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন মালয়েশিয়ার সাধারণ মানুষের কাছে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’খ্যাত আলোচিত দাঈ ও সমাজকর্মী ওস্তাদ ইবিট লিও।
গত বুধবার রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে সরাসরি টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে নিয়ে আসা হয় তাকে। ইজতেমায় অংশ নিতে এসে তিনি তিনি টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকায় ছিন্নমূল ও অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন।
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ওস্তাদ ইবিট লিও টঙ্গী রেলস্টেশন
এলাকায় ছিন্নমূল শিশু ও রেলস্টেশন কেন্দ্রিক অসহায়, সাধারণ মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন। খাবার নিতে আসা সাধারণ মানুষদের সাথে কথাও বলেছেন। এ সময় তাকে বেশ উৎফুল্লও দেখা গেছে।
তিনি আরও জানান, বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে তিনি বাংলাদেশে আসেন। একদিন পর তিনি ইজতেমা ময়দানে আসেন। আসার পরপরই জামাতের নিয়ম মাফিক অনুমতি নিয়ে তিনি টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকায় যান। জামাত থেকে তাকে রাহাবর পদপ্রদর্শক দেওয়া হয়।
তাদের নিয়েই তিনি খাবার বিতরণ করেন। ইজতেমা শেষ হলে তিনি বাংলাদেশে বেশ কিছু দিন থাকবেন। ধর্মীয় কাজসহ মানবিক বিভিন্ন কাজ করবেন। এ সময় তাকে আমাদের জামাতের সাথী ভাইয়েরা সহযোগিতা করবেন।
এদিকে, আজ শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ইবিট লিও তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। তিনি তাতে লিখেছেন,‘তাদের এই অবস্থা দেখে আমার অনেক কষ্ট লেগেছে। যারা রেলওয়েতে বাস করে তাদের জন্য আমরা খাবার সরবরাহ করি।
তারা খাবার আনতে ছুটছে। এই শীতের সকালে তারা গরম খাবার পেয়ে খুবই খুশি। এখানে ছোট ছোট অনাথ শিশু আছে। এখানকার জীবন আশ্চর্যজনক যা থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পারছি। এখানে নানান প্রকৃতির মানুষ আছে এবং তারা সবাই খুব বন্ধুসুলভ।’
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার সাধারণ মানুষের কাছে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ ওস্তাদ ইবিট লিও। নিজের কাজের মাধ্যমে ইবিট লিও ইতোমধ্যে জনগণের কাছে একজন মানবিক মানুষ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। যেকোনো বিপদে-আপদে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে ছুটে যান সাধারণ মানুষের কাছে।