Breaking News
Home / অন্যান্য / বিশ্বে বেঁচে থাকা প্রথম ননুপ্লেটস

বিশ্বে বেঁচে থাকা প্রথম ননুপ্লেটস

একসঙ্গে ৯ সন্তান একই গর্ভ থেকে জন্ম নিলে সেটিকে বলা হয় ননুপ্লেটস। সাধারণত ননুপ্লেটসের জন্ম খুবই বিরল ঘটনা।

একসঙ্গে ৯টি ভ্রূণ গর্ভে জন্ম নিলেও তাদের বেশিরভাগই বাঁচে না। প্রসবের আগে বা প্রসবের সময় মারা যায়।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিশ্বের প্রথম মিরাকল অর্থাৎ অলৌকিক ননুপ্লেটসের খবর জানিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। প্রতিষ্ঠানটি জানায়,

মালির এক দম্পতির ঘরে একসঙ্গে আসা ৯ সন্তানের বয়স দেখতে দেখতে এখন দাঁড়িয়েছে ১৯ মাসে। ফলে তাদের নাম উঠে গেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।

গিনেস বলছে, বিশ্বের প্রথম ননুপ্লেটস (একসঙ্গে একই গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ নয় সন্তান), যেখানে মা এবং শিশুরা জীবিত আছে। তাদের বাবা ও মায়ের নাম আবদেলকাদের আরবি ও হালিমা সিসে। গিনেসের রেকর্ড অনুযায়ী, এর আগে কোনো ননুপ্লেটস কয়েক ঘণ্টার বেশি বাঁচেনি।

২০২১ সালের ৪ মে তারিখে মরক্কোর একটি হাসপাতালে একসঙ্গে ৯ সন্তানের জন্ম দেন হালিমা সিসে। সময়ের আগেই ৩০তম সপ্তাহে প্রসব হয় তার। এই ৯ সন্তানের মধ্য়ে পাঁচটি মেয়ে ও চারটি ছেলে।

প্রথমে মালির ডাক্তাররা ভেবেছিলেন, হালিমার গর্ভে সাতটি সন্তান রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মরক্কোর একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতালে নেওয়ার পর দেখা যায়- হালিমার পেটে আরও দুটি, অর্থাৎ মোট ৯টি সন্তান।

হালিমার সিজার করে অপরিপক্ক (প্রিম্যাচিউর) অবস্থায় ৯ সন্তানের জন্ম হয়। ননুপ্লেটসের জীবন নিয়ে ঝুঁকি থাকার কারণে তাদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। হাসপাতালে সর্বমোট ৩২ জন কাজ করেছেন তাদের পেছনে।

সন্তান জন্মের ১৯ মাস পর তাদের নিয়ে অবশেষে গত সপ্তাহে বাড়ি ফিরেছেন আবদেলকাদের আরবি ও হালিমা সিসে দম্পতি। বিশ্বে বেঁচে থাকা প্রথম ননুপ্লেটস হিসেবে বিশ্ব রেকর্ডের সার্টিফিকেট দেওয়ার পাশাপাশি তাদের নিয়ে বিশেষ ভিডিও প্রকাশ করেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ।

About Admin

Check Also

সকলের সামনেই নতুন জামাইয়ের সাথে জনপ্রিয় গানে তু-মুল নাচ শাশুড়ির,এ যেন এক দারুন কম্বিনেশন যা নেট দুনিয়ায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে মুহূর্তেই তুমুল ভাইরাল ভিডিও

নৃত্য শব্দটি সাধারণত শারীরিক নড়াচড়ার প্রকাশভঙ্গীকে বোঝায়। এ প্রকাশভঙ্গী সামাজিক, ধর্মীয় কিংবা মনোরঞ্জন ক্ষেত্রে দেখা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *